নেইমারের ক্যারিয়ারটা ঠিকই যেনো নদীর মতো বয়ে চলেছে, কখনো শান্ত স্রোতের মতো সবকিছু সাজানো আবার চোখের পলকেই উত্তাল স্রোতে সবকিছু এলোমেলো। ফুটবল জগতের বাইরেও নেইমারকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি, মাঝেমধ্যেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ফুটবল খেলার চেয়ে অন্যান্য বিষয়গুলোতেই বেশি মনোযোগ এই ব্রাজিলিয়ানের। সেই অভিযোগ নানা সময়ে নানাভাবে উড়িয়ে দিয়েছেন নেইমার এবং গতকাল জাতীয় দলে যোগ দিয়ে স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন জাতীয় দলের হয়ে খেলাটাই তার জন্য সবচেয়ে আনন্দের উপলক্ষ!
বহু নাটকিয়তার পর পিএসজি ছেড়ে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালে যোগ দিয়েছেন নেইমার, সময়ের সাথে সাথে নিজেকে মানিয়েও নিচ্ছেন তিনি, সর্বশেষ ম্যাচে পেয়েছেন গোলের দেখা। তবে সেই আনন্দকে ছাপিয়ে গিয়েছে পৃথিবীর বুকে তার কণ্যার আগমণ। মেয়ে মাভি জন্ম নেয়ার পর গুঞ্জন উঠেছিলো জাতীয় দলের দুইটি ম্যাচ খেলবেন না নেইমার তবে দলের সবার সাথে না হলেও একদিন পর ঠিকই দলের সাথে যোগ দিয়েছেন এবং যোগ দেয়ার মুহূর্তে উত্তর দিয়েছেন সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের।
দল হিসেবে বিশ্বকাপে খারাপ পারফরম্যান্সের পর ব্রাজিলের জার্সিতে খেলার সময় কতোটা চাপ অনুভব করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে নেইমার বলেন, “ব্রাজিলের উপর সবসময়ই প্রত্যাশা বেশি থাকে। সবাই চায় ব্রাজিল ভালো খেলুক এবং জয় পাক যার ফলে খেলোয়াড়দের উপর কিছুটা চাপ থাকেই কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারাটাই সবচেয়ে বড় আনন্দের বিষয়।”
ব্রাজিলের নতুন কোচ দিনিজের ব্যাপারেও কথা বলেছেন নেইমার। অতীতে দিনিজের প্রশংসা করা নেইমার তারই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে বলেন, “দিনিজ একজন দুর্দান্ত কোচ। বর্তমানে আমাদের দেশে যে কয়েকজন বিশ্বমানের কোচ আছেন তাদের মধ্যে দিনিজ একজন।”
সৌদি আরবের পরিবেশ সম্পর্কে নেইমারের মতামত, “সৌদি আরবের তাপমাত্রা অনেক বেশি, তবে আমি আস্তে আস্তে নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছি। আল হিলালের সতীর্থরা দারুণ। তারা আমাকে সবসময় সাহায্য করতে প্রস্তুত থাকে।”
মাভির জন্ম উপলক্ষে নেইমার যে অতিমাত্রায় আনন্দিত তা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই তবে মাভি তার বাবার খেলা দেখতে পারবে কিনা সেই প্রশ্নের জবাবে নেইমার বলেন, “আমি জানি না কতোদিন খেলা চালিয়ে যেতে পারবো তবে অবশ্যই চাইবো আমার মেয়ে মাঠে এসে তার বাবার পক্ষে গলা ফাঁটাক। তবে আমি এখন পর্যন্ত যতোদূর আসতে পেরেছি তা নিয়ে আমি খুশি।”